তিলোত্তমার বিচার নিয়ে চলমান আন্দোলন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনার জেরে এবার পুলিশের নজরদারি শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মত প্রকাশের মাধ্যমে যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদের উপর বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, যিনি শুরু থেকেই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি পুলিশের গাড়ি আটকে মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতালের সামনে অবরোধ করেছিলেন, যা গোটা বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তাকে এবার জেরা করার জন্য লালবাজার সাইবার ক্যাফে দপ্তর থেকে সমন পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মত প্রকাশ বেড়ে যাওয়ায় রাজ্য সরকার চাপে পড়েছে। এর ফলে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে মিছিল-মিটিং নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিশেষত, আরজিকর অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করে সভা-মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া, কলকাতার দুই বিশিষ্ট ডাক্তার কুনাল সরকার ও সুবর্ণা গোস্বামীকেও তলব করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত নির্যাতিতার পরিচয় নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছেন, যা পুলিশের মতে, তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ন।
রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ও নজরদারির আওতায় এসেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পুলিশের তদন্তের গতি-প্রকৃতির সমালোচনা করেছিলেন। তার এই মন্তব্যের পরই তাকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে, রাজ্যজুড়ে চলমান সরকারবিরোধী প্রচারকে নিয়ন্ত্রণ করতেই পুলিশের এই পদক্ষেপ। বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে, পুলিশের এই পদক্ষেপ সরকারের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশে রাশ টানার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।