পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক জীবন ছিল রাজ্যের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি টানা পাঁচবার জয়ী হয়ে নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করেছিলেন। ২০১১ সালে তিনি এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের মণীশ গুপ্তের কাছে পরাজিত হওয়া পর্যন্ত তিনি রাজ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর একজন অন্যতম নেতা হিসাবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি পার্টির রাজ্য কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পলিটব্যুরোর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।পশ্চিমবঙ্গ সরকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পর, ২০০০ সালে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ২০০১ এবং ২০০৬ সালে এই পদে পুনরায় নির্বাচিত হন। তবে, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝড়ে তিনি পরাজিত হন।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মুখ্যমন্ত্রীত্বকালে রাজ্যে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছিল। শিল্পায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তবে, বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দিকে রাজ্যে ব্যাপক হিংসা ও অশান্তি দেখা যায়, যার জন্য তিনিও সমালোচিত হয়েছিলেন।
২০২২ সালে তাকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দেওয়া হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে তার যুক্তি ছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরোধিতা করার কারণে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করতে পারবেন না।