ঢাকা, ৫ আগস্ট ২০২৪: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির উত্থান এবং তাদের কার্যক্রম দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারী দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদের মৃত্যু ঘটে এবং আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হলেও, ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তিগুলি এ সুযোগে নিজেদের কার্যক্রম জোরদার করে।
সরকার জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও, তারা ছাত্র আন্দোলনকে ব্যবহার করে সরকারবিরোধী আন্দোলন তীব্রতর করে তোলে। পুলিশের অত্যাচারের ভিডিও ও ছবি প্রচার করে জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে। আওয়ামী লীগও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তাদের ছাত্র সংগঠনকে মাঠে নামিয়ে দেয়, ফলে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।
এই সংঘর্ষের ফলে গোটা বাংলাদেশে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে সেনাবাহিনী একটি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা ঘটে। সেনাপ্রধান একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে, যেখানে সরকার পক্ষের কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এরপর সেনাপ্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা করেন, যদিও সেখানে কারা থাকবে তা স্পষ্ট করেননি। ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যা থেকে বোঝা যায় ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি ক্ষমতা দখল করেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন কোন পথে যাবে তা বলা কঠিন, তবে দেশজুড়ে নৈরাজ্যের পরিবেশ বিরাজ করছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে, । ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এই আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এ আন্দোলন এখন আর তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, বরং এটি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে।