বুধবার রাতে যখন রাজপথে নারীরা প্রতিবাদে নেমেছিলেন, ঠিক সেই সময়ে আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়, যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এবার সেই অভিযোগে আরও জোরালো হল, কারণ তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ এক যুবক স্বয়ং ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে হামলায় তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
সৌমিক দাস, যিনি পেশায় একজন জিম ট্রেনার এবং দমদমের পূর্ব সিঁথির বাসিন্দা, সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেন যে তিনি আরজি কর হাসপাতালে হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি জানান, "ইমোশনাল হয়ে ভাঙচুরে অংশ নিয়েছি, এটা সত্যিই আমার ভুল হয়েছে, অপরাধ হয়েছে।" সৌমিক আরও জানান, এই হামলার পিছনে কোনও রাজনৈতিক প্ররোচনা ছিল না, তিনি নিজেই এতে অংশ নিয়েছিলেন।
তবে সৌমিকের এই স্বীকারোক্তির পর নানা প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে একজন হামলাকারী প্রকাশ্যে স্বীকার করার পরও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না? তার তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই কি সে এখনও মুক্ত? এই প্রশ্নগুলো নিয়েই এখন উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।