ডিওয়াইএফআই (ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া) নেতা কলতান দাশগুপ্তের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই গ্রেপ্তার নিয়ে সিপিআই(এম) (কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসিস্ট)) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। দিল্লিতে সিপিআই(এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির শেষ যাত্রায় অংশগ্রহণের সময় তিনি মন্তব্য করেন, "কতজন কলতানকে ধরবে মমতা ব্যানার্জি?"
সেলিমের অভিযোগ, ফোন ট্যাপ করে রাজ্য সরকার প্রতিপক্ষদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘‘ফোন ট্যাপ করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রয়েছে। তাহলে সেই কথোপকথনের অডিও ক্লিপ কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুনাল ঘোষের হাতে এল?’’
সেলিম আরও বলেন, কুনাল ঘোষ একসময় চিটফান্ড কাণ্ডের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি মমতার সঙ্গে মুখোমুখি বসে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন। এখন সেই কুনাল ঘোষই তৃণমূলের পক্ষ হয়ে রাজ্যজুড়ে চালাচ্ছেন অন্য রঙ্গ, যা সেলিমের মতে রাজ্যের জনগণ ভালোভাবেই দেখছে।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক জানান, "সংবাদমাধ্যমের একটি বড় অংশ আন্দোলনের মূল বিষয় থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ‘কুনাল’ প্রসঙ্গে মগ্ন রয়েছে।" তিনি বলেন, ‘‘এই কুনালের রঙ্গ বাংলা দেখে নিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কতজন কলতানকে গ্রেপ্তার করবে মমতা ব্যানার্জির সরকার?’’
সেলিম অভিযোগ করেন, সিপিআই(এম)-এর বহু কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, "মমতা ব্যানার্জির সরকার ইতিমধ্যেই ৮৫ হাজারেরও বেশি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে, যা ব্রিটিশ শাসনের সময়ের ষড়যন্ত্রের মতো।"
ডিওয়াইএফআই, এসএফআই (স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া), এবং সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি যৌথভাবে রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।