নয়াদিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে বিশিষ্ট বাম নেতা এবং সিপিআই(এম)-এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণে এক বিশাল শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেন এবং কমরেড ইয়েচুরির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর সদস্য প্রকাশ কারাত, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী ও পলিট ব্যুরোর সদস্য পিনারাই বিজয়ন, সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, সিপিআই(এমএল) লিবারেশন-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, আরএসপি সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লক সাধারণ সম্পাদক জি দেবরাজন। এছাড়া কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাংসদ মহুয়া মাজি, আম আদমি পার্টির মন্ত্রী গোপাল রাই, এনসিপি (এসপি) নেত্রী ও সংসদ সদস্য সুপ্রিয়া সুলে, সমাজবাদী পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাম গোপাল যাদব, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা ও সংসদ সদস্য মনোজ ঝা, ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ড. ফারুক আবদুল্লাহও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশেষ অতিথিরা কমরেড ইয়েচুরির অবদানের কথা গভীরভাবে স্মরণ করেন। হিন্দু পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক এন. রাম, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রভাত পট্টনায়ক এবং সমাজকর্মী তিস্তা সেতলবাদও শোকসভায় বক্তব্য রাখেন।
সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড ব্রিন্দা কারাত শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির বামপন্থী আন্দোলনে তার বিশাল অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি কমরেড ইয়েচুরির মার্কসবাদী দর্শন, ভারতের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তার লড়াইকে বিশেষভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভারতের এই সংকটময় সময়ে কমরেড সীতারাম ইয়েচুরির শূন্যতা গভীরভাবে অনুভূত হবে।
JANAM এবং পারচম-এর পরিবেশনা শোকসভাকে আরও তাৎপর্যময় করে তোলে, যা সমগ্র অনুষ্ঠানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে।