১৯৩৯ সালের আজকের দিনে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছিল। হিটলারের নেতৃত্বে জার্মানি গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এই যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায়, আজকের দিনটি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় যুদ্ধবিরোধী দিবস হিসেবে, যা পরবর্তীকালে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
দুর্গাপুর ইস্পাত অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করা হয়। পয়লা সেপ্টেম্বর এখানে অনুষ্ঠিত হয় যুদ্ধ বিরোধী মিছিল, যেখানে গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়।
এবারের যুদ্ধবিরোধী মিছিলটি ছিল কিছুটা ভিন্ন। গাজায় মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ; অন্যদিকে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। এই যুদ্ধের বিরুদ্ধেও এবার আওয়াজ ওঠে। তবে, মিছিলটি থামানোর জন্য পুলিশ এসে উপস্থিত হয়, যা রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তোলে কেন পুলিশ মিছিল আটকাতে এলো।
ইতোমধ্যে, বাংলা জুড়ে চলছে একটি গণ আন্দোলন, যেখানে একটি হতভাগ্য মেয়ের হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। আরজিকরের স্লোগান দিয়েও মিছিলটি বাধাপ্রাপ্ত হয়। পুলিশ মিছিলে "জাস্টিস ফর আরজিকর" স্লোগান দেওয়া যাবে না বলে জানায়, যা মিছিলকারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মিছিলের সময় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হলেও, অংশগ্রহণকারীরা অনমনীয় মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যান।
শ্রমিকনেতা বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল শেষে শপথগ্রহণ পাঠ করেন, আর মিছিলের সূচনা করেন দুর্গাপুরের প্রাক্তন মহানাগরিক এবং গণ আন্দোলনের নেতা রথীন রায়। পুলিশ মিছিল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, শেষ পর্যন্ত মিছিল তার লক্ষ্যে পৌঁছায়।
পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেক বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষ। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে এই ধরনের বাধার নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা।