পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণের অভাবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা ত্রাণ বণ্টনে ব্যর্থতার জন্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তৃণমূল সরকারের উপর চাপ বাড়ছে, কারণ ত্রাণ সংকটে হাহাকার বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
বিশেষ করে পানীয় জলের সংকটে প্লাবিত অঞ্চলগুলোতে ক্ষোভ বাড়ছে। সরকারের শত প্রচেষ্টাতেও এই অসন্তোষ দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত বাঁধ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে প্লাবন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। নদীর বুক থেকে মাটি না তোলার অভিযোগও সামনে এসেছে।
শনিবার ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণের জন্য মানুষের চরম হাহাকার দেখা গেছে। একই পরিস্থিতি হুগলীর পুরশুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের অনেক এলাকায়ও দেখা গেছে। ত্রাণের নৌকো ঘিরে বন্যার্তদের মরিয়া চেষ্টার চিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে ডিভিসি থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়াকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন। ডিভিসি-তে রাজ্যের প্রতিনিধি বিদ্যুৎ সচিব শান্তনু বসুর পদত্যাগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ত্রাণের কাজ সামলাতে না পারায় তৃণমূল সরকারের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। রেড ভলান্টিয়ার্স ও সিপিআই(এম) ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের কাজে এগিয়ে এসেছে, এবং তারা অর্থ সংগ্রহের আবেদন জানিয়েছে।