মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নবান্নের চিঠি চালাচালি শুরু হয়, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আন্দোলনকারীদের চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জুনিয়র চিকিৎসকরা বুধবার ভোর ৩টের পর নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন যে তারা ৩০ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে নবান্নে যেতে চান। নবান্নের পক্ষ থেকে তার উত্তর আসে দুপুর ৩টে ২১ মিনিটে, যেখানে ১২ থেকে ১৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা আবারও একটি চিঠি দেন, যেখানে তারা পাঁচটি শর্ত উল্লেখ করেন।
এসব চিঠি চালাচালির পর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ভোর ৩টের পর মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে কেন মেইল পাঠানো হলো? সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে কোনো সিএমও-তে মেইল পাঠানো হয়? এটা কি স্বাভাবিক? নিশ্চয় নয়? তাহলে কি এর পেছনে কোনো রাজনীতি লুকিয়ে আছে?"
চন্দ্রিমার এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাদের মতে, সবার সঙ্গে আলোচনা করেই মেইল পাঠানো হয়েছে। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ বলেন, "আমরা এভাবে আন্দোলন করতে আসিনি। আমরা ৯টায় এলাম আর সাড়ে ৯টায় ডিনার করে শুয়ে পড়লাম না। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।" অর্থাৎ, সবার সঙ্গে কথা বলার কারণেই সময় লেগেছে বলে আন্দোলনকারীদের দাবি।