শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ইতিহাসে জেভিপি (জনতা ভিমুক্তি পেরামুনা) দুইবার সশস্ত্র বিপ্লবের চেষ্টা করেছিল—প্রথমবার ১৯৭১ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৯৮৭ সালে। দু’বারই তারা ব্যর্থ হয়। ১৯৭১ সালের অভ্যুত্থানে জেভিপির রেড গার্ড বাহিনী প্রাণপণ আত্মত্যাগ করেও দেশের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়। এরপর ১৯৮৭ সালে আরও সংগঠিতভাবে বিপ্লবের প্রচেষ্টা চালায়, কিন্তু আবারও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখে পরাজিত হয়।
দলীয় কর্মী, সমর্থক এবং নেতৃত্বের ওপর রাষ্ট্রের কঠোর নির্যাতন সত্ত্বেও জেভিপি তার মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী অবস্থান থেকে পিছপা হয়নি। বরং তারা সবসময় মানুষের পাশে থেকে সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। সাম্প্রতিককালে রাজাপাক্সে রেজিমের বিরুদ্ধে গণ অভ্যুত্থানেও রাজপথে লড়াইয়ে সক্রিয় ছিল জেভিপি।
এর ফলশ্রুতিতে, সর্বশেষ নির্বাচনে মাত্র ৩% ভোট পাওয়া দলটি আজকে ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৪০% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে নির্বাচনে তিনি সবচেয়ে সম্ভাব্য দেশের প্রথম বামপন্থী রাষ্ট্রপতি । জেভিপির রাজনৈতিক যাত্রা যেন সেই কথারই মূর্ত প্রতীক—"একদিনে হবে না, কিন্তু একদিন ঠিকই হবে"।
জাতীয় জনশক্তি (NPP) প্রেস রিলিজে জানায় যে, তারা বিশ্বাস করে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব সততা বজায় রাখবেন। এছাড়াও, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গণনা কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
তারা আশা করে, কারফিউ শুধুমাত্র জনগণের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই জারি করা হয়েছে।