তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক জুনিয়র চিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। ওই জুনিয়র ডাক্তার ৯ অগস্ট, তিলোত্তমার মৃত্যুর দিন ভোরে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের একটি ভাঙা বাথরুমে স্নান করেছিলেন। একটি নার্সকে তিনি জানিয়েছিলেন যে তাঁর গায়ে রক্তের দাগ লেগেছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর সিবিআই আরজি করের নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই বাথরুমটি সেমিনার রুম চত্বরে অবস্থিত ছিল। সেখানেই ওই জুনিয়র ডাক্তার সহকর্মীদের জানিয়েছিলেন যে তাঁর জামায় রক্তের দাগ লেগেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রক্তদাগের এই রহস্যের পেছনে কি লুকিয়ে আছে আরও কিছু?
তদন্তে জানা গেছে, ওই ডাক্তার দাবি করেছিলেন, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ৪ নম্বর বেডের এক মহিলা রোগীকে পিআরবিসি দেওয়ার সময় তাঁর জামায় রক্তের দাগ লাগে। সিবিআই এ বিষয়ে নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করে, এবং জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নার্স দাবি করেছেন যে তিনি ওই জুনিয়র চিকিৎসককে আগে কখনো দেখেননি।
সিবিআই সূত্রে আরও জানা যায়, রাত ৯টা নাগাদ ওই জুনিয়র ডাক্তার মাল্টি ড্রাগ রেজিস্টেন্স ওয়ার্ডে ঢুকে ফ্রিজ খুলে কিছু খুঁজছিলেন এবং পরে তিনি জানান যে তিনি পিআরবিসি খুঁজছেন। রাত আড়াইটে পর্যন্ত পিআরবিসি চালানোর পর, ওই চিকিৎসক স্নান করার কথা জানান।
এছাড়া আরও একজন জুনিয়র ডাক্তার ওই ওয়ার্ডে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি জানান, আগের ডাক্তারই পিআরবিসি চালাবেন। আপাতত, ওই জুনিয়র ডাক্তারকে খুঁজছে সিবিআই এবং তাঁর ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলছে।