তিলোত্তমার মামলায় আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সরে দাঁড়িয়েছেন—মিডিয়ার একাংশ এই খবর সারাদিন প্রচার করে গেছে। যদিও ঘটনাটি আংশিক সত্য, পুরো কাহিনীটি অনেক বেশি কৌশলগত এবং গভীর।
বিকাশ ভট্টাচার্য একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "তাঁদের পরিবার যদি অন্য কোনো আইনজীবী নেন, আমার কিছু বলার নেই।" এর পেছনে তিলোত্তমা পরিবারের পছন্দের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে। পরিবারের একজন মহিলা আইনজীবী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে, রাজনৈতিক নেতা বৃন্দা কারাত প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করেন।
শুনানিতে বৃন্দা গ্রোভার সরাসরি উপস্থিত ছিলেন এবং কলকাতা থেকে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। কৌশলগত কারণে বিকাশ বাবু মামলার মূল দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন এবং মহিলা আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে, যেহেতু এই মামলায় নারী আইনজীবীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মিডিয়ার বেশিরভাগই এই পরিবর্তনকে সঠিকভাবে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা কেবল বলেছে, "অভয়ার মামলা থেকে সরে গেলেন বিকাশ ভট্টাচার্য।" কিন্তু আসল কৌশলটি বুঝতে তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে।
এই সিদ্ধান্তটি আসলে বৃন্দা কারাতেরই পরিকল্পনা, যিনি সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর সদস্য এবং বিকাশ ভট্টাচার্য তাঁর দলের রাজ্যসভার সাংসদ।