লালবাজারের অদূরে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রায় ২২ ঘণ্টা ধরে অবস্থানের পর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অবশেষে তাঁদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বৈঠকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা কমিশনারের হাতে একটি স্মারকলিপি তথা দাবিপত্র তুলে দেন, যেখানে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে অবিলম্বে তাঁর অপসারণের দাবি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকের পরই বিনীত গোয়েল নবান্নে যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়, তবে স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিকে, বৃহস্পতিবার আরজি করের ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গেই আলোচনা করতে নবান্নে যান তিনি। কিন্তু তাঁর নবান্নে যাওয়া নিয়ে কমিশনারের অপসারণের জল্পনা শুরু হয়েছে।
শাসক দলের একাধিক নেতা যদিও বিনীত গোয়েলের প্রতি সহানুভূতিশীল। দলের এক নেতা বলেন, "কলকাতার পুলিশ কমিশনারের হাতে তাঁরই অপসারণ চেয়ে স্মারকলিপি দেওয়া একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এবং আরও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে যে, ২২ ঘণ্টা ধরে অবস্থান চলার পর ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিনীত।"
অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, কেন সোমবারই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করলেন না কলকাতার পুলিশ কমিশনার? তবে ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনীত গোয়েল নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা নাও পেতে পারেন এবং নবান্নের অনুমতির অপেক্ষায় থাকতে হতে পারে।
রাজ্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পুলিশ ও প্রশাসনের বড় রদবদলের আলোচনা চলেছে, বিশেষ করে আরজি কর কাণ্ডের পর কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন তোলার পর। এখন দেখার বিষয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক চাপের মুখে সত্যিই কলকাতার পুলিশ কমিশনার বদল করেন কিনা।