আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকেও আলাদা করে রিপোর্ট দেওয়া হয়। রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা, ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে সওয়াল করেন যে চিকিৎসার অভাবে রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকেই দায়ী করেছে রাজ্য। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টেও চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্যুর উল্লেখ রয়েছে।
স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে রাজ্যের আইনজীবী প্রধান বিচারপতিকে জানান যে রিপোর্ট সিলড খামে শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টকেই দেওয়া হচ্ছে। রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলাকালীন রোগী মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।
অন্যদিকে, সিবিআই-এর পক্ষ থেকে সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহেতা অভিযোগ করেন যে রাজ্য অনেক তথ্য লুকিয়ে যাচ্ছে এবং প্রশ্ন তোলেন কেন স্টেটাস রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন রাজ্য সিবিআই-কে স্টেটাস রিপোর্ট দেয়নি।
প্রধান বিচারপতি জানতে চান আরজি কর হাসপাতাল থেকে অধ্যক্ষের বাড়ি কত দূর। রাজ্যের আইনজীবী জানান, দূরত্ব মাত্র ১৫-২০ মিনিট। এই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, তাহলে এফআইআর করতে এত দেরি হল কেন এবং তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তা সিবিআই-এর কাছে জানতে চান।