গড়িয়াহাটের ফুটপাতে ক্রেতাদের সেই চিরচেনা ভিড় এখন আর নেই। দোকানে বিক্রেতাদের ব্যস্ততা প্রায় উধাও। বদলে দেখা যাচ্ছে প্রায় ফাঁকা ফুটপাত, যেখানে কিছু ক্রেতা মাত্র দোকানগুলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। 'কম দাম' বলেও ব্যবসায়ীদের হাঁকডাক বিশেষ কাজে আসছে না। মহালয়া তিন সপ্তাহ পরে হলেও, ব্যবসায়ীদের মতে সারা সপ্তাহে ক্রেতা সংখ্যা নগণ্য, ছুটির দিনগুলোতেও শুধুই প্রতিবাদ মিছিল, কেউ দোকানমুখো হচ্ছেন না।
পুজো শুরু হতে আর মাত্র এক মাস বাকি থাকলেও শহরের বাজারের পরিস্থিতি দেখে সেই আভাস মেলানো মুশকিল। উত্তরের হাতিবাগান থেকে দক্ষিণের গড়িয়াহাটে ছুটির দিনগুলিতেও বাজার প্রায় ফাঁকা। আর জি কর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে শহরের সর্বত্র প্রতিবাদের সুর এবং বিষণ্ণতার ছায়ায় ডুবে রয়েছে বাজারগুলো। এই বছর আদৌ পুজোর বাজার জমবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
হাতিবাগানে রবিবারের বাজারেও তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। বিকেলের দিকে গিয়ে দেখা গেল, বড় দোকান থেকে ফুটপাতের স্টল— সর্বত্র মাত্র কিছু ক্রেতা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গড়িয়াহাটেও একই ছবি। রাস্তার দু’পাশের ফুটপাতের দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় কম, বিকেলের দিকে প্রতিবাদ মিছিলের কারণে অনেকেই কেনাকাটা বাদ দিয়ে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।
নিউ মার্কেটে কিছুটা ভিন্ন ছবি দেখা গেছে। রবিবার দুপুরের পর থেকে ক্রেতাদের আনাগোনা কিছুটা বেড়েছে। তবে শহরের নানা স্থানে প্রতিবাদ মিছিল এবং বিক্ষোভের ফলে পুজোর কেনাকাটায় অনীহা স্পষ্ট।