তিলোত্তমা কাণ্ডকে কেন্দ্র করে সারা দেশ এবং গোটা রাজ্য এখন ফুঁসছে। কলকাতার বুকে প্রতিদিন কোনো না কোনো স্থানে মিছিল অথবা রাস্তার উপর বসে আন্দোলনের সূচনা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এই সব মিছিল বা আন্দোলনের জন্য কলকাতা পুলিশের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছে গিয়েছে।
কলকাতায় যেকোনো ধরনের মিছিল বা আন্দোলনের জন্য পুলিশের অনুমতি বাধ্যতামূলক হলেও, সম্প্রতি এক মাস ধরে চলমান এই আন্দোলনগুলির ক্ষেত্রে এমন কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। সামনেই পুজো আসছে, এবং এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশ আগামীতে অনুমতি ছাড়া এমন আন্দোলন বা মিছিলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিতে পারে, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে।
লালবাজারের কর্তারা জানিয়েছেন, ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে একটি ঘোষণা করেই রাস্তার বুকে আন্দোলন বা মিছিল শুরু হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে রাস্তার গতি কমে যাচ্ছে, যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এবং বহু মানুষ কর্মস্থলে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে ই-মেইল করে বহু মানুষ অভিযোগ জানিয়েছেন। তাই, আগামী দিন থেকে এমন মিছিল বা রাস্তায় বসে আন্দোলনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে লালবাজার।
তবে, কলকাতা পুলিশ স্পষ্ট করেছে যে, তারা আন্দোলন বা মিছিল বন্ধ করতে বলছে না। কিন্তু, অনুমতি ছাড়া রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সেটাই তাদের প্রধান চিন্তার বিষয়। এখন দেখার বিষয়, বাস্তবে এর কী প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, এদিন আরজি কর হাসপাতাল ইস্যুতে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগোনোর ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কিছু দিন আগে ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের সময়ও পুলিশি অনুমতি নিয়ে চরম উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যেই আবার লালবাজার অভিযানের মতো ঘটনাও ঘটেছে। একই সময়ে, এই আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিলের মাধ্যমে।
এখন দেখার, পুজোর ঠিক আগে পুলিশের নেওয়া সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন কেমন হয়।