আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তৈরি সিজার তালিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তালিকায় ১৫ নম্বর সিজার হিসেবে উল্লেখিত রয়েছে, ‘লুমা’ কোম্পানির নীল এবং কালো রঙের একটি ব্লুটুথ ইয়ারফোন, যা মৃতদেহের কাছে ম্যাট্রেসের নিচে পাওয়া যায়। পুলিশ দাবি করছে, এই ইয়ারফোন ধৃত সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে সংযোগের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।
কিন্তু এই দাবির পরেই শুরু হয়েছে প্রশ্ন। আইনজীবীরা বলছেন, ধস্তাধস্তির সময় ইয়ারফোন যদি ম্যাট্রেসের নিচে চলে যায়, তবে কেন ম্যাট্রেসের চাদরে কোনো ধস্তাধস্তির চিহ্ন নেই? আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রশ্ন, মৃতদেহ যেখানে পড়েছিল তার ছবিতে ম্যাট্রেসের চাদর ঠিকঠাক গোঁজা অবস্থায় দেখা গেছে। তাহলে ইয়ারফোন নীচে চলে গেলে চাদরও এলোমেলো থাকার কথা ছিল।
তালা থানার অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার ভিত্তিতে তৈরি করা এই সিজার তালিকায় মোট ৪০টি জিনিসের উল্লেখ রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তদন্তকারী এবং আন্দোলনকারী পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। ২৩, ২৪, এবং ২৫ নম্বর সিজারে ম্যাট্রেসের ছেঁড়া অংশের উল্লেখ থাকলেও, মৃতার শরীরে হাত-পায়ের চাপের চিহ্নের প্রশ্ন উঠছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গলা এবং নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। এক্ষেত্রে এক জন একাই গলা চেপে ধরে রাখলে মৃতার হাত-পা কে চেপে ধরল?
সিজার তালিকায় উল্লেখিত আরও কিছু বিষয় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, যেমন দুইটি লাল কম্বলের উপস্থিতি এবং ৪০ নম্বর সিজার সামগ্রী হিসেবে ‘কেস প্রেজ়েন্টেশন খাতা’-র উল্লেখ। এই খাতার উৎস এবং সেমিনার রুমে তার উপস্থিতি নিয়েও তদন্ত চলছে।
কেন এত ধোঁয়াশা ও সন্দেহ? এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করতে সিবিআইও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তদন্তে নতুন তথ্য উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
news sourcee: anandabazar online