বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নের ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠক করতে গিয়েও ফিরে আসতে হল আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার জন্য বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকটি দীর্ঘ টালবাহানার পরেও অনুষ্ঠিত হতে পারেনি, কারণ বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও বৈঠক না হওয়ায় জুনিয়র চিকিৎসকরা ফিরে যেতে বাধ্য হন।
সাংবাদিকদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন লাইভ স্ট্রিমিং করা সম্ভব হয়নি। তবে তার এই যুক্তি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসক সংগঠনের নেতা সুবর্ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যে যুক্তি দিলেন, তা একেবারে ভিত্তিহীন। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে নিশ্চিত হয়েছি যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে এই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।"
সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত হয়তো সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য তৈরি করার জন্য নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "লাইভ স্ট্রিমিং না করার পেছনে আসল কারণ হলো, তদন্তের বিভিন্ন ফাঁকফোকর নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা, যেগুলোর কোনও সদুত্তর নেই।"
এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে, বিশেষ করে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি-দাওয়া শুনতে রাজি না হওয়ার এই সিদ্ধান্তে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।