সম্প্রতি, চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর একটি মন্তব্যকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি এক ধর্ষণের ময়নাতদন্তের বিষয়ে একটি মন্তব্য করেছেন, যা বিকৃতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
সুবর্ণ গোস্বামী স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি কখনোই ১৫০ গ্রাম বীর্যের কথা বলেননি। বরং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি উল্লেখ করেন যে ১৫০ গ্রামের নমুনায় সাদা, চটচটে তরল পদার্থ পাওয়া গেছে, যা ডিএনএ পরীক্ষা করে বীর্য হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তার এই বক্তব্য বিকৃত করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে এবং এটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের জন্ম হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “যারা এ ধরনের অভিযোগ তুলছে, তারা মেডিক্যাল বা ফরেন্সিক সায়েন্স সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে না। এধরনের অপপ্রচার অজ্ঞতারই বহিঃপ্রকাশ।”
এই ঘটনা আমাদের দেখিয়ে দেয় যে, তথ্যের বিকৃতি এবং অবমাননাকর মন্তব্য কীভাবে সমাজে অস্থিরতা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই, অসভ্যতার_বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে তথ্যের সঠিক ব্যবহার এবং সচেতনতার গুরুত্ব বুঝতে হবে, যাতে সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।