দীর্ঘ প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে জয়নগরের নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলো কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে। সোমবার বিকেল পাঁচটায় ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর, গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে নাবালিকার মৃতদেহ হাসপাতালের পুলিশ মর্গ থেকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কল্যাণী এইমস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তে নির্যাতিতার পরিবারের দুই সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। সকালে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং এইমসের চিকিৎসকরা কল্যাণী পুলিশ মর্গে পৌঁছালে, কড়া পুলিশি পাহারায় নাবালিকার দেহ সেখানে আনা হয় এবং ময়নাতদন্তের কাজ শুরু হয়।
এদিন সকালে কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে মর্গে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, তিনি শুধুমাত্র পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তবে তিনি রাজ্যের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ঘটনাতেও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে, যেমনটি আরজি করের ঘটনাতেও দেখা গিয়েছিল।
সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকেরাও মর্গের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান তুলে তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
হাই কোর্টের নির্দেশে, বারুইপুর কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কল্যাণী এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।