ভারতের বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক রানা আইয়ুবকে ২০২৪ সালে কানাডিয়ান জার্নালিস্টস ফর ফ্রি এক্সপ্রেশন কর্তৃক আন্তর্জাতিক প্রেস ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়েছে। তার সাহসী কাজের জন্য ভারতে তিনি হুমকি, ইন্টারনেট ট্রলিং এবং একাধিক মামলার সম্মুখীন হয়েছেন।
ভারতের সাহসী সাংবাদিক রানা আয়ুব তার ন্যায়ের লড়াইয়ের জন্য নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। বিভিন্ন আক্রমণ, হুমকি এবং মামলা সত্ত্বেও তিনি সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গে যখন ন্যায়বিচারের দাবিতে গণআন্দোলন চলছে, তখন রানা আয়ুবের এই লড়াই জনমনে নতুন এক প্রেরণা জোগাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
ব্যাপক চাপ এবং ট্রলিংয়ের মুখে থেকেও, নিজের নীতি এবং আদর্শে অবিচল থেকে, রানা আয়ুব একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সাহসিকতার সঙ্গে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই লড়াই প্রচারের আড়ালে থাকলেও তিনি প্রতিনিয়ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারের জন্য Ms. Ayyub এর সমালোচনা বিশেষ সংবেদনশীল কারণ তিনি একজন নারী এবং মুসলিম। সম্প্রতি একটি মামলার শুনানির জন্য তাকে রিপোর্টিংয়ের কাজ ফেলে মুম্বাইয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। তিনি দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেলকে জানান, “আমি যতটা সময় মামলা মোকাবিলায় ব্যয় করি, তার চেয়ে কম সময় রিপোর্টিংয়ে ব্যয় করতে পারি।” Ms. Ayyub, যিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের একজন কলামিস্ট, তার রিপোর্টিংয়ের জন্য পশ্চিমা বিশ্বে প্রশংসিত, বিশেষ করে ভারতের সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন, রাষ্ট্র-সমর্থিত সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাত নিয়ে।
২০১০ সালে গুজরাট দাঙ্গার উপর তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ফলে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গ্রেফতার সম্ভব হয়। এই তদন্তের উপর ভিত্তি করে তিনি ২০১৫ সালে তার বই Gujarat Files: Anatomy of a Cover Up প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, সমালোচনামূলক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ভারতে মানহানি, কর ফাঁকি এবং অর্থপাচারের মতো অভিযোগ আনা হচ্ছে। তার কথায়, “ভারতে সরকারবিরোধী সাংবাদিকদের ওপর মিথ্যা অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।” সরকারের পক্ষ থেকে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করা হয়েছে।
Ms. Ayyub বলেন, গুজরাট ফাইলের জন্য তার গোপন অনুসন্ধানের পর থেকেই সরকারের এই আক্রমণাত্মক প্রচারণা শুরু হয়েছে।