আগামী ২৬ এবং ২৭ অক্টোবর ১৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে মেয়র, কাউন্সিলর, গভর্নর এবং আঞ্চলিক কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য ভোট দিতে ডাকা হবে। এই বাধ্যতামূলক নির্বাচনটি ২০২৫ সালের সংসদীয় ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য একটি থার্মোমিটার হিসেবে কাজ করতে পারে।
যদিও ২৮ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু হয়, অক্টোবর মাসেই এটি কিছুটা গতি পায়। টেলিভিশনে বিতর্ক, রাস্তাঘাটে প্রার্থীদের উপস্থিতি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থীদের প্রচারণা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবুও, সাম্প্রতিক একটি জরিপে দেখা গেছে যে ৪২ শতাংশ নাগরিক নির্বাচনে কম বা কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না, যেখানে ৩৬ শতাংশ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় উৎসাহ দেখাচ্ছে।
পছন্দের ব্যাপারে, জরিপটি দেখায় যে পুনর্নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের প্রতি সমর্থন (৩৭ শতাংশ) এবং পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করা প্রার্থীদের প্রতি সমর্থন (৩৮ শতাংশ) প্রায় সমান।
নির্বাচনী পরিবেশটি "অডিওস কেস" নামে পরিচিত একটি দুর্নীতি কেলেঙ্কারির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এতে অপরাধমূলক আইনজীবী লুইস হেরমোসিলার বিরুদ্ধে অর্থপাচার, ঘুষ এবং কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়েছে। এই কেলেঙ্কারির সাথে বিচারক, প্রসিকিউটর এবং রাজনৈতিক অভিজাতদের সংযোগ রয়েছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অ্যাঞ্জেলা ভিভানকোকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং সাবেক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
এই মামলার একটি অংশে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেস চ্যাডউইককে সাক্ষ্য দিতে তলব করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই দুর্নীতির কেলেঙ্কারি "চিলি ভ্যামোস" রক্ষণশীল জোটের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়াও, নির্বাচনী প্রক্রিয়াটিকে প্রভাবিত করছে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ। এ বছর ইতিমধ্যে ৬৭০ জনেরও বেশি মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে, যার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
সরকারের "স্ট্রিটস উইদাউট ভায়োলেন্স" পরিকল্পনা এবং পুলিশ বাহিনী বৃদ্ধির প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, সহিংসতা ও গোলাগুলি বেড়েই চলেছে।