কলকাতা: রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী আন্দোলন চলতে থাকার মধ্যে সিপিআইএম-এর অন্যতম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকেও নারী নির্যাতনের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযোগ ওঠার পরেই বামফ্রন্ট নেতা বাম দলের সিদ্ধান্তে সাময়িকভাবে পদ থেকে বরখাস্ত হন। এই ঘটনার পর সিপিআইএম আবারও প্রমাণ করলো তাদের দলীয় নীতির কঠোরতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি অঙ্গীকার।
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এ ঘটনাটি বড় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে শাসক দল এবং বিজেপি এমন ধরনের দ্রুত সিদ্ধান্তের উদাহরণ রাখতে পারেনি। এই সাহসী পদক্ষেপকে রাজ্যের নানা অংশ থেকে, বিশেষ করে জুনিয়র ডাক্তারদের থেকে প্রশংসা জানানো হয়েছে।
তবে, বারবার সিপিআইএম নেতাদের লক্ষ্য করে এমন অভিযোগ ওঠার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলটির সমর্থকরা। তারা জানিয়েছেন, তৃণমূল আইটি সেল এবং কিছু গণমাধ্যম এমন অনেক ঘটনা প্রচার করছে, যা মূলত সিপিআইএম-এর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে করা হচ্ছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন:
1. মীনাক্ষী মুখার্জীর বিরুদ্ধে ফেক প্রোফাইল থেকে দুই দিন আগে কারা নোংরা পোস্ট করে অপমানের চেষ্টা করেছিল?
2. ২০ বছর আগের একটি ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর পেছনে কারা রয়েছে?
3. ১৪ আগস্ট আরজিকর হাসপাতালে সিপিআইএম ছাত্র-যুব নেতাদের নামে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে গুন্ডা পাঠিয়ে কারা হামলা চালিয়েছে?
4. কলতান দাসগুপ্তের নামে মিথ্যে অভিযোগ এনে কি উদ্দেশ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো?
5. আজকের ঘটনার পরও অভিযুক্তের ইন্টারভিউ নিতে কেন একজন সাংবাদিক এতটা তৎপর হলেন?
সিপিআইএম-এর সমর্থকদের মতে, এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানে তৃণমূল আইটি সেল এবং কুনাল ঘোষ। তাদের বক্তব্য, কুনাল ঘোষ এবং তৃণমূলের আইটি সেল অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার আগেই তথ্য ছড়িয়ে ভাইরাল করছে, যা প্রশ্নের উদ্রেক করছে।
---