তিলোত্তমা হত্যার বিচারের দাবিতে বামেদের নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। থ্রেট কালচার এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই গণআন্দোলন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তিলোত্তমার শোকার্ত পরিবার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সবাই এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে একত্রিত। ৯ আগস্টের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে বিচার পাওয়ার দাবিতে লাগাতার বামেদের নেতৃত্বে রাজপথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ।যার অগ্রভাগে দেখা গেছে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি তিনি সেদিন তিলোত্তমার দেহ আটকাতে পথে নেমেছিলেন। তার নেতৃত্বে ধারাবাহিক ভাবে গণ অবস্থান সংগঠিত হয় শ্যামবাজার এলাকায়।
তিলোত্তমার বিচারের দাবির পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকেও সমর্থন জানিয়ে পথে নেমেছে বিভিন্ন সংগঠন। জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মতলায় বিশাল মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই আন্দোলনে সিনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের অন্যতম মুখ ডক্টর সুবর্ন গোস্বামী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের প্রধান মুখ। এই আন্দোলনের কেন্দ্রে রয়েছেন তিলোত্তমার মতো শহীদদের স্মৃতি এবং তাদের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার অঙ্গীকার।
মহাসমাবেশে অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যারা নিজেদের কণ্ঠে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন এবং থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছিলেন। অনশনরত চিকিৎসকদের প্রতি সংহতি জানাতে গ্রামগঞ্জের বহু মানুষও হাজির ছিলেন। সমাবেশ চলাকালীন একজন ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে, ডা. সুবর্ণ গোস্বামী তৎক্ষণাৎ তার চিকিৎসা করেন এবং ওই ব্যক্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ডা. গোস্বামী শুধু একজন চিকিৎসক নন, তিনি এমন এক রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করেন যা মানুষের সুরক্ষার জন্য, ভয়ের রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই আন্দোলন যতদিন না তিলোত্তমার হত্যার বিচার হয়, ততদিন অব্যাহত থাকবে।