৫ই অক্টোবর, শনিবার, অস্ট্রেলিয়ার পার্থে একদল মানবাধিকার কর্মী এবং ফিলিস্তিন সমর্থকরা হঠাৎ করে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশের মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করা এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জাগিয়ে তোলা। এই প্রতিবাদটি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলি দমন-পীড়নের বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকির প্রেক্ষিতে। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরেন: "যুদ্ধ বাড়াবেন না", "আঞ্চলিক যুদ্ধ বন্ধ করুন", "লেবাননকে মুক্ত রাখুন", এবং "গণহত্যা বন্ধ করুন"।
এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন শুধু ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য নয়, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। তারা আরও অভিযোগ করেন, এই ধরণের আক্রমণ কেবল ফিলিস্তিনিদের জীবনকে বিপন্ন করছে না, বরং আঞ্চলিক অস্থিরতাও বাড়িয়ে দিচ্ছে যা লেবাননের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও বিপজ্জনক। এ কারণে তারা স্লোগান তোলেন "Hands off Lebanon", অর্থাৎ লেবাননকে এ সংঘাত থেকে মুক্ত রাখার আহ্বান।
প্রতিবাদকারীরা আরও দাবি করেন যে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলো ফিলিস্তিনিদের উপর একটি পরিকল্পিত গণহত্যার অংশ। তারা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান ইসরায়েলের এই আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে। প্রতিবাদকারীরা বিশ্বকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার, নিরাপত্তা, এবং স্বাধীনতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
সমাবেশের অংশগ্রহণকারীরা "ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই" এবং "দখলদারিত্বের অবসান ঘটাও" (#FreePalestine এবং #EndTheOccupation) এর মতো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালান। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে নতুনভাবে তুলে ধরা।
প্রতিবাদটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তবে এতে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার মতো শক্তিশালী বার্তা ছিল। কর্মীরা জানান, এই প্রতিবাদ শুধু বোর্লু বা পার্থের জন্য নয়, বরং বিশ্বের প্রতিটি কোণে মানবাধিকার সমর্থকদের জন্যও এক অনুপ্রেরণা। তারা বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে এবং প্রতিটি মানুষের উচিত এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।