দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার কুলগামের তারিগাম গ্রামে জঙ্গীরা গুলি করে হত্যা করেছিল গুলজার আহমেদকে, কারণ তিনি ছিলেন ইউসুফ তারিগামির ভাইপো। কিন্তু ইউসুফ তারিগামি কোনও জঙ্গি বা রাজনৈতিক দলের নিয়মিত নেতা নন। তিনি সেই বিরল নেতাদের একজন, যিনি কাশ্মীরের মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেন, বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে এবং শান্তির পক্ষে।
২০০৫ সালের ১৮ই অক্টোবর, জঙ্গীদের হামলা থেকে কোনোরকমে বেঁচে গিয়েছিলেন তারিগামি। হিজবুল মুজাহিদিন-এর হিটলিস্টে শীর্ষে থাকা তারিগামি জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করেছিলেন এবং বহু জঙ্গীর আত্মসমর্পণ করিয়েছিলেন। তাঁর জীবনঘনিষ্ঠ রাজনীতি কেবল কাশ্মীরের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্যই নয়, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতির বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিলেন।
ইউসুফ তারিগামি কাশ্মীরের একমাত্র কমিউনিস্ট বিধায়ক, যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে কুলগামের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং প্রতিটি বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন। তাঁর কথায়, "কাশ্মীরিরা আকাশের তারা চায় না, তারা শুধু শান্তিতে বাঁচতে চায়।" তারিগামি সব সময় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা ও তাদের ফেরার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সরব থেকেছেন।
তারিগামি শুধুমাত্র একজন নেতা নন, তিনি এক মশাল। সেই মশাল, যিনি দিকভ্রান্ত কাশ্মীরিদের অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসার পথ দেখান।