আশীষ পাণ্ডে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিটের সভাপতি হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন। তবে তাঁর রাজনৈতিক জীবন যতটা প্রভাবশালী, ততটাই বিতর্কিত। সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত এই নেতা অবৈধভাবে হাউজস্টাফশিপ পেয়েছিলেন এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে থেকে যান। তাঁর হাউজস্টাফশিপ ছাড়ার ঘটনাও বিতর্কিত ছিল, যা তিনি ৯ আগস্টের ঘটনার পর চুপিসারে একটি সাদা কাগজে জানিয়ে গিয়েছিলেন।
আশীষ পাণ্ডে শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে থ্রেট কালচারের অন্যতম মুখ। এসএসকেএমের পিজিটি অভীক দে’র ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে এই সংস্কৃতিকে চালনা করতে দেখা গেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম একটি ঘটনা হলো ৮ আগস্ট রাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের এক পড়ুয়া চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ড। সেই ঘটনায় চারতলার সেমিনার রুমে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর জরুরি বৈঠকের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। এর মধ্যেই একটি গেস্টহাউসে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রুম বুক করার তথ্য উঠে আসে, যা নিয়ে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়।
এই ঘটনার পরেও আশীষ পাণ্ডের কার্যকলাপ থেমে থাকেনি। ১০ আগস্ট আর জি করের গেটে তাকে প্রতিবাদরত চিকিৎসক ও ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিনের শিক্ষক ও স্টুডেন্টস হেলথ হোমের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ পবিত্র গোস্বামীর ওপর হামলার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। যদিও পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের হলেও, কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি, আশীষ পাণ্ডেকে আর জি করের টেন্ডার ও দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় নয়, তবুও এই গ্রেপ্তারি রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।