একদিকে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন ১১ দিনে পড়েছে। একের পর এক অনশনকারী সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো সময় এখনো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নেই।
অন্যদিকে, এই অসংবেদনশীল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ধর্মতলায় আয়োজন করা হয় দ্রোহ কার্নিভালের। ডাক্তারদের একাধিক সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই কার্নিভালে লাখো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হলেও হাইকোর্টের নির্দেশে সব বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেওয়া হয়।
লাখো মানুষের স্লোগানে শাসককে চরম হুঁশিয়ারি দেন ডাক্তার ও নাগরিক সমাজ। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর পুজো কার্নিভাল কার্যত ফিকে হয়ে যায়। ১০৮টি পুজো কমিটির দুর্গা পরিক্রমা হলেও ক্লাবের সদস্যদের উপস্থিতি কমে অর্ধেকে। রেড রোডের কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন কেবল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পারফর্মার এবং অতিথিরা। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।
ধর্মতলার জনতার কার্নিভাল স্পষ্ট ভাষায় তিলোত্তমার বিচার দাবি করে। কবিতা, নাটক, এবং গান দিয়ে তাদের প্রতিবাদ তুলে ধরে। এর পরেই জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে একটি বিশাল মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।