ত্রিধারায় পূজামণ্ডপে 'We Want Justice' স্লোগান দেওয়ার জন্য নয়জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছিল। আজ হাইকোর্টে সেই মামলায় আবারও পুলিশের মুখ পুড়ল। বিচারক স্পষ্টভাবে জানান, এই স্লোগান কোন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে হয় না এবং তাদের পুলিশি হেফাজতে রাখারও কোনো প্রয়োজন নেই। যে ধারাগুলিতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলোর সাথে এই ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই।
ধর্মতলায় অনশন মঞ্চ শুরু থেকেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিল। শুধু তাই নয়, পূজামণ্ডপে বিচার চেয়ে স্লোগান দেওয়ার জন্য এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল পুলিশ। আরও গুরুতর বিষয় হলো, যখন জুনিয়র ডাক্তাররা গ্রেফতার হওয়া নয়জনের সমর্থনে পাশে দাঁড়ায়, তখন তাদের বলা হয়, "ওরা তো ডাক্তার নয়!" এটি প্রমাণ করে যে সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য কখনই প্রাথমিকতা পায়নি। সরকারের উদাসীনতার কারণেই বারবার জরাজীর্ণ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের দোষারোপ করা হয়েছে। মিডিয়াও তাদের বারবার 'ভিলেন' হিসেবে তুলে ধরেছে।
এই আন্দোলন যখন এক গণ আন্দোলনের রূপ নিয়েছে, তখন জুনিয়র ডাক্তাররা এবং সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সরকারের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ চেষ্টা করেছিলেন একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দিতে, কিন্তু সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে, কারণ জনগণ এবং ডাক্তাররা এখন একসাথে দাবিতে সোচ্চার।
এই আন্দোলন প্রথম থেকেই থ্রেট কালচার এবং সর্বস্তরের ভয়ের রাজনীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারিয়ে দলের দাসে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে দেখা গেছে, পুলিশ একটি 'রাফ অ্যান্ড টাফ' ভূমিকা নিচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। যদি ৯ আগস্ট বা ১৪ আগস্টের ঘটনার সময় পুলিশের এই মনোভাব থাকত, তাহলে আজ সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সম্মুখীন হতে হত না।
ইতিহাস ভুলের পুনরাবৃত্তি সহ্য করে না—এটা শাসকের জানা উচিত।