কলকাতা, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪: সম্প্রতি একটি ইন্টারভিউয়ের ঘটনাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইউটিউব চ্যানেলে বিভ্রান্তিকর প্রচার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। খবর অনুযায়ী, ওই ইন্টারভিউয়ের সময় ক্যামেরাম্যান নিজেই সাংবাদিক ও ইন্টারভিউ দানকারীর বসার অবস্থান ঠিক করেছিলেন। সাধারণত চ্যানেলটির প্রত্যেক ইন্টারভিউতেই সাংবাদিক ও সাক্ষাৎকারদাতা কাছাকাছি বসেন এবং মহিলা সাংবাদিকটি সাধারণত ফ্রেমের বাঁদিকে বসেন। কিন্তু, হঠাৎ করেই এই ইন্টারভিউ নিয়ে বিতর্কের জন্ম হয়েছে।
জানা গেছে, ইন্টারভিউ শেষ করার পর ওই মহিলা সাংবাদিক হাসিমুখে বাড়ি ফেরেন এবং তারপর অফিসে এডিটরের সাথে আলোচনা করে অভিযোগ দায়ের করেন। আধা ঘণ্টার মধ্যেই বিষয়টি রাজনৈতিক রঙ পায় এবং বিভিন্ন ইউটিউব মিডিয়া ও অনলাইন প্রিন্ট পোর্টালের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এই প্রচারকে রাজনৈতিকভাবে উসকে দেওয়া হচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। অতীতে তৃণমূল সরকারের সময় এমন মিথ্যা অভিযোগের উদাহরণ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
দর্শনীয় বিষয় হলো, ইন্টারভিউ শেষ হওয়ার পরেও সেই মিডিয়া চ্যানেলটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ইন্টারভিউ বাদে আরও পাঁচটি ভিডিও আপলোড করেছে, কিন্তু ওই বিতর্কিত ইন্টারভিউটি আপলোড করেনি। ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর সাংবাদিকটি ফেসবুকে কাঁপতে কাঁপতে অভিযোগের ভিডিও প্রকাশ করেন। তবে, ইন্টারভিউয়ের সময় তিনি কতটা স্বাভাবিক ছিলেন, সেটি চাপা থেকে যায়।
এদিকে, সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের আবহে পর পর তিনটি মিথ্যা অভিযোগ সামনে এসেছে – মীনাক্ষীর নামে ভুয়ো পোস্ট, নৌশাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ এবং তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এই ঘটনার সময়সূত্র এবং প্রচারের গতিকে দেখে অনুমান করা হচ্ছে যে, আরজিকর আন্দোলন থেকে নজর ঘোরানোর উদ্দেশ্যে এইসব অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।
বিবিধ সামাজিক মাধ্যম এবং ইউটিউব মিডিয়ার মাধ্যমে ইন্টারভিউটি নিয়ে ২০-২৫ মিনিটের ওই ঘটনার প্রচার আসলেই পরিকল্পিত কিনা, তা নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন।