নদিয়ার কৃষ্ণনগরের একটি মর্মান্তিক ঘটনা নারী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। অগ্নিদগ্ধ ও বিবস্ত্র অবস্থায় এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে একটি মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো প্যান্ডেলের কাছে। এলাকাবাসীর দাবি, তরুণীকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
রাজ্য যখন কলকাতার এক সাম্প্রতিক নারকীয় ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তাল, ঠিক সেই সময়েই দুর্গাপুজোর মণ্ডপের কাছ থেকে তরুণীর এই অমানবিক অবস্থায় দেহ উদ্ধার হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তরুণীকে অন্যত্র হত্যা করে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মুখে আগুন দিয়ে তাকে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি, তবে পুলিশ পরিবারের সন্ধান চালাচ্ছে এবং দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম এটি পুতুল, পরে বুঝতে পারি এটি একটি তরুণীর দেহ। তার মুখ আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গেছে। মনে হয় কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।”
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা অরিন্দম ভট্টাচার্য এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এ ধরনের অপরাধের পেছনে মারাত্মক প্রবণতা কাজ করছে। মুখ পোড়ানোর মাধ্যমে অপরাধীরা হয়তো প্রমাণ লোপাট করতে চেয়েছে, কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষা এবং পুলিশের আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে অপরাধীরা ধরা পড়বেই।”
এ ঘটনার তদন্ত চলছে এবং স্থানীয় মানুষজন দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।