চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এটি একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন। যারা এই কাজ করেছে, তারা সন্ত্রাসী। তারা যেই হোক না কেন, শাস্তি তাদের পেতেই হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনূস সরকার যদি এই সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, এই ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।”
বিবৃতিতে শেখ হাসিনা সরকারের বর্তমান অবস্থার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এবং জনগণের নিরাপত্তা দিতে বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের উপর যেকোনো ধরনের নির্যাতন বরদাশত করা হবে না। আমরা এই নৈরাজ্যের তীব্র নিন্দা জানাই।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান। চট্টগ্রামে একটি মন্দির পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকেও তিনি তীব্র নিন্দা করেন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা ও হয়রানির ঘটনাগুলো তুলে ধরে বলেন, “এই ধরনের নৈরাজ্যবাদী কার্যকলাপ দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে। আমরা এসব ঘটনার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ জানাই।”
তিনি দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় একসাথে কাজ করার কথা বলেন।