সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সকল শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর যোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সম্মিলিত আক্রমণ দখলদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে এবং এই দিনটি বাংলাদেশের বিজয়ের ইতিহাসে বিশেষ গৌরবময় হিসেবে চিহ্নিত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। তার সময়েই সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের ভিত্তি স্থাপন করা হয়।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারও সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে অসামান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। 'ফোর্সেস গোল ২০৩০'-এর আওতায় সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন চলমান রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিবৃতিতে দেশমাতৃকার সুরক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলা, জাতিগঠনমূলক কার্যক্রম এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
আওয়ামী লীগ আশা প্রকাশ করে যে, সশস্ত্র বাহিনী তাদের ঐতিহ্য এবং দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবে।