দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে, কারণ বুধবার মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। মহারাষ্ট্রে এক দফায় এবং ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটে নির্ধারিত হবে কে বসবে এই দুই রাজ্যের ক্ষমতার আসনে।
মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনে ৪১৩৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৯ কোটি ৭০ লক্ষের বেশি ভোটার। রাজ্যের মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত পাওয়ার)-এর জোট 'মহাজুটি' এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ পাওয়ার)-এর জোট 'মহাবিকাশ আঘাড়ী'র মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকা এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে ৮১টির মধ্যে ৩৮টি আসনে বুধবার ভোটগ্রহণ হবে। ২০১৯ সালে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। এ বছরও তারা বামপন্থী সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে সঙ্গে নিয়ে লড়ছে। তবে জমি কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি, এবং 'জমি জিহাদে' মদতের অভিযোগে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত।
বিজেপি এবং তার শরিকরা হেমন্ত সোরেন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রচারে ঝাঁজ বাড়িয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ সরাসরি বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করেছেন। পাশাপাশি, অনুপ্রবেশ ইস্যুতেও দুই শিবিরের মধ্যে পাল্টা অভিযোগ চলছে।
শনিবার গণনা হবে, এবং গোটা দেশের নজর থাকবে এই দুই রাজ্যের ফলাফলের দিকে, যা জাতীয় রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।