মেঘালয় হাইকোর্ট, জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে রাজ্যে প্লাস্টিকের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদান করেছে। প্রধান বিচারপতি আই.পি. মুখার্জি এবং বিচারপতি ডব্লিউ. দিয়েংদোহের ডিভিশন বেঞ্চ ১২০ মাইক্রনের কম পুরুত্বের প্লাস্টিকের উৎপাদন, বিপণন এবং ব্যবহারে কার্যকর নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য প্রশাসনিক আদেশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
২০২৪ সালের ১৬ আগস্ট আদালত রাজ্য সরকারকে প্লাস্টিক সামগ্রী পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়। আদালত উল্লেখ করে যে, প্লাস্টিকের বিকল্প আবিষ্কৃত না হওয়া পর্যন্ত প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
মেঘালয় সরকারের বন ও পরিবেশ বিভাগের সচিবের জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে আদালত দেখে যে, সরকার প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং কিছু প্লাস্টিক সামগ্রী জব্দের পদক্ষেপ নিয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, "প্লাস্টিক পলিথিন থেকে তৈরি, যার কারণে এটি সস্তায় টেকসই উপাদান সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতির কারণে এটি জলাশয়, নিকাশী ব্যবস্থা এবং জনস্থানে আবর্জনা জমার বড় সমস্যা তৈরি করছে।"
হাইকোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে যে:
1. ১২০ মাইক্রনের কম পুরুত্বের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জন্য প্রশাসনিক আদেশ বা আইন প্রণয়ন করতে।
2. এই ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদক, পরিবেশক এবং ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে জব্দ করতে।
3. প্লাস্টিক বর্জ্য দ্রুত সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে।
4. জনস্থানে পরিদর্শন চালিয়ে প্লাস্টিক সামগ্রী উদ্ধার করে সেগুলোকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পাঠাতে।
আদালত আরও নির্দেশ দেয় যে, সরকার গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে একটি দ্বিতীয় হলফনামা জমা দেবে।
সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য নিয়ে আদালতের এই পদক্ষেপ রাজ্যে প্লাস্টিক বর্জ্য সংকট মোকাবিলায় এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে।