জলপাইগুড়ি: ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (এসএফআই) ও ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন (ডিওয়াইএফআই)-এর উদ্যোগে রাজ্যজুড়ে অভয়া হত্যার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি। সোমবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার সামনে ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ডিভিসি রোডের সুবোধ সেন ভবন থেকে মিছিল বের হয়ে শহর পরিক্রমা করে থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভকারীদের আটকে রাখার চেষ্টা করে। ছাত্র-যুব নেতাদের বক্তব্য চলাকালীন পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে, যখন বিক্ষোভকারীদের একাংশ পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। ছাত্র-যুবদের কয়েকজন নেতাকে আটক করা হয়, যার মধ্যে ছিলেন ডিওয়াইএফআই জেলা সম্পাদক শুভায়ু পাল ও এসএফআই জেলা সম্পাদক অরিন্দম ঘোষ। এ ঘটনার পর থানার সামনে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়।
ছাত্র-যুব নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে পার্টির সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিপুল সান্যাল, পীযুষ মিশ্র, প্রদীপ দে, দীপশুভ্র সান্যাল, এবং নাগরিক সংসদের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. পান্থ দাশগুপ্তসহ অন্যান্য গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
প্রায় সাড়ে ছটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত আলোচনার পর, ছাত্র-যুবদের আন্দোলনের চাপে পুলিশ আটককৃতদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, অভয়ার খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।
এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি শহরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তি আবারও প্রমাণিত হলো।