" " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory মার্কিন দেশে নির্বাচনে তৃতীয় শক্তির বিকাশ জরুরি: শ্রমজীবী শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষার নতুন দাবি //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

মার্কিন দেশে নির্বাচনে তৃতীয় শক্তির বিকাশ জরুরি: শ্রমজীবী শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষার নতুন দাবি

 



ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে দুই-দলীয় ব্যবস্থার একক প্রভাব বিদ্যমান, যা ধনী ও কর্পোরেট শ্রেণির স্বার্থের জন্য কাজ করে। শ্রমজীবী মানুষদের সমস্যা ও প্রয়োজনের কথা এই ব্যবস্থায় প্রায়ই উপেক্ষিত থাকে। সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর মার্কিন জনগণের একটি বিশাল অংশের মধ্যে তৃতীয় শক্তির বিকাশের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কর্মজীবী মানুষদের দাবি, তৃতীয় শক্তির উত্থানই পারে তাদের স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে এবং দেশের আসল সমস্যাগুলির কার্যকর সমাধান আনতে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি একক ধনকুবের এজেন্ডা দ্বারা পরিচালিত, যেখানে রাজনীতিবিদরা ভোটারের পরিবর্তে লবিস্টদের কাছে জবাবদিহি করে। ব্ল্যাকরক-এর সিইও ল্যারি ফিঙ্ক বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল পুঁজিপতি শ্রেণির ক্ষমতার ভারসাম্য বদলায় না। আমেরিকানদের দুই-তৃতীয়াংশ বেতন থেকে বেতনে টিকে থাকে; চিকিৎসা খরচই প্রায়শই তাদের দেউলিয়া করে দেয়। গণশিক্ষায় বাজেট কাটার কারণে পড়াশোনার মান কমছে, এবং সামাজিক সংকট ক্রমাগত বেড়ে চলছে। দ্বিদলীয় কংগ্রেস প্রতি বছর সামরিক খাতে ব্যয় বাড়িয়ে তুলছে, নাগরিকদের মৌলিক চাহিদার বদলে বিশ্বজুড়ে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে।

প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান বেতন থেকে বেতন পর্যন্ত টিকে থাকে, যেখানে চিকিৎসা খরচ এবং উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয় তাদের জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষাব্যবস্থা ও আবাসন খাতে বরাদ্দ কমানোর ফলে শ্রমজীবী শ্রেণী ক্রমেই বিপদের মুখে পড়ছে। এদিকে, কর্পোরেট শ্রেণির জন্য তৈরি আইন এবং ব্যাপক সামরিক ব্যয় দিন দিন বাড়ছে। সাম্প্রতিক বছরে কংগ্রেস উভয় দল মিলিতভাবে সামরিক খাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছে, যা জনগণের প্রয়োজনীয় চাহিদাগুলিকে অগ্রাহ্য করছে।

ওয়াল স্ট্রিটের লাভজনক পরিকল্পনা কার্যত শ্রমজীবী মানুষের ক্ষতিসাধন করে চলছে, জীবনের খরচ বেড়েই চলছে। এই পরিস্থিতির বিপরীতে “ভোট সোশ্যালিস্ট” প্রচারণা বর্তমানে ১৯টি রাজ্যে জনগণের সমর্থন পেয়েছে, যা একটি গণভিত্তিক আন্দোলন হিসেবে বেড়ে উঠছে। এই প্রচারণা কেবল নির্দিষ্ট শহর বা সুইং স্টেটেই সীমাবদ্ধ নয়; এর লক্ষ্য সমাজতন্ত্রকে একটি বিকল্প হিসেবেই প্রতিটি কোণায় পরিচিত করা।


তৃতীয় দলের সম্ভাবনা জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিপুল সমর্থন সংগঠিত হয়েছে, এবং এই আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে যারা স্বেচ্ছায় কাজ করেছেন তাদের প্রতি বক্তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ড. মার্টিন লুথার কিং-এর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “পুঁজিবাদ তার উপযোগিতা হারিয়েছে,” এবং বিশ্বাস করেন যে শ্রমজীবী মানুষের সরকার আরও ভালোভাবে পরিচালিত হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের শ্রমজীবী মানুষেরা একতাবদ্ধ হয়ে তৃতীয় শক্তিকে সমর্থন দিলে এটি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। কংগ্রেসের অনুমোদন বর্তমানে মাত্র ১৬ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মানুষের মধ্যে বিদ্যমান দলগুলির প্রতি আস্থাহীনতার স্পষ্ট প্রমাণ। “ভোট সোশ্যালিস্ট” আন্দোলন ১৯টি রাজ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, যা শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তির চাহিদা বাড়িয়ে তুলেছে।


সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লডিয়া ডে লা ক্রুজ বলেন, “এই আন্দোলন কোনো একক নির্বাচনের জন্য নয়; এটি একটি লড়াই যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। কর্পোরেট ও ধনী শ্রেণির আধিপত্যের পরিবর্তে শ্রমজীবী মানুষদের প্রতিনিধিত্বই একমাত্র সমাধান হতে পারে।”


তৃতীয় শক্তির বিকাশের দাবি আজ শুধু তত্ত্ব নয়, বরং মার্কিন দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমজীবী মানুষেরা রাজনীতিতে প্রকৃত পরিবর্তন দেখতে চান, যেখানে তাদের জীবনযাত্রা ও প্রয়োজনীয়তার প্রাধান্য থাকবে।


Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies