শিশু দিবসের সার্থকতা আলোচনা করার আগে প্রথমেই জানা দরকার এর ইতিহাস। ভারতবর্ষে শিশু দিবস পালনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিনকে স্মরণ করা, যিনি শিশুদের প্রতি গভীর মমতা অনুভব করতেন। যদিও এটি নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে, কংগ্রেসের মতে, শিশুদের প্রতি নেহেরুর ভালোবাসা এমন একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের দেশ গঠনের মূল স্তম্ভ শিশুদের প্রতি দৃষ্টিপাত করা হয়। কংগ্রেসের যুক্তি হলো, শিশুদের হাত ধরেই দেশের অগ্রগতি সম্ভব, তাই শিশুদের নিয়ে একটি বিশেষ দিবস উদযাপন হওয়া উচিত।
তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে, ১৯৬৪ সালের আগে কি কোনো শিশু দিবস ছিল? রাষ্ট্রপুঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ২০ নভেম্বর শিশু দিবস পালিত হয়। কিন্তু নেহেরুর সম্মানে ভারতবর্ষে ১৪ নভেম্বরকে শিশু দিবস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
শিশু দিবসের সত্যিকার সার্থকতা তখনই পূর্ণ হবে যখন সমাজে শিশু শ্রম বন্ধ হবে, শিশুদের অঙ্গ পাচার রোধ করা সম্ভব হবে, সকল শিশুদের জন্য শিক্ষা সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে, তাদের খেলার জগৎ প্রসারিত হবে এবং শিক্ষা অর্জনে যেন প্রতিযোগিতা না হয় বরং শিশুরা মাঠে-ময়দানে খেলাধুলা করার সুযোগ পায়। এগুলি আজও দেশের সামনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে এবং শিশু দিবস উপলক্ষ্যে এসব অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে হয় প্রতি বছর।
তবে, প্রকৃতপক্ষে শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত না হলে শিশু দিবস উদযাপন শুধুমাত্র একটি প্রথা হয়ে থেকে যাবে।