হাওড়ার ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটিতে মাত্র তিন মাসে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল পাপিয়া ঘোষালের চায়ের দোকান। ‘রাশিয়ান চা দিদি’ নামে পরিচিত পাপিয়া ঘোষাল ইংরেজি অনার্স স্নাতক। তিনি নিজ উদ্যোগে জাতীয় সড়কের ধারে 'টি-এমো' নামে চায়ের দোকান শুরু করেছিলেন। দুধ চা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের নতুন স্বাদের চা, তার দোকান এলাকার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসতেন তার চায়ের স্বাদ নিতে এবং তার সঙ্গে সেলফি তুলতে।
কিন্তু এত অল্প সময়েই ঘটল ছন্দপতন। সম্প্রতি স্থানীয় ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ টাঙিয়ে জানানো হয়েছে, তার চায়ের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাপিয়ার দাবি, দোকান বন্ধ করার জন্য তাকে কোনো রকম নোটিশ বা সময় দেওয়া হয়নি। দোকানের জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরে এলাকাবাসীর একটি অংশ ইচ্ছাকৃতভাবে তার দোকান বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পাপিয়া।
তিনি আরও বলেন, "আমার দোকানের ভিড়ের কারণে যদি কারো সমস্যা হয়, তার জন্য সলিউশন বের করা যেত। কিন্তু আমাকে বিনা নোটিশে দোকান বন্ধ করতে বলা হলো। এটা কি শুধুমাত্র আমি একজন মেয়ে বলে?"
পাপিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি শুধু একজন মহিলা হিসেবে নয়, একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল মহিলাদের স্বাবলম্বী হতে উৎসাহিত করা। কিন্তু এই ঘটনার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন, "একজন মেয়ে কি কখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না?"
এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর ভূমিকা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। যেখানে অন্যান্য অবৈধ কাজ চললেও সেগুলো বন্ধ করতে কেউ এগিয়ে আসে না, সেখানে একটি নিরীহ চায়ের দোকান বন্ধের উদ্যোগ কেন?
এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই পাপিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে তার উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, পাপিয়া হলেন নতুন প্রজন্মের মহিলাদের অনুপ্রেরণা, যিনি সমস্ত বাধা পেরিয়ে আবার নতুনভাবে ফিরে আসবেন।
আপনার মতামত কী? পাপিয়া ঘোষালের পাশে দাঁড়ানো উচিত কি না?