বাংলাদেশে বর্তমানে আইনের শাসন এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যে মৌলবাদী চরমপন্থার বিস্তার ঘটছে, তা জাতির জন্য উদ্বেগজনক। অরাজকতা যেন এক স্বাভাবিক রুটিনে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচিত হচ্ছে, যা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
সম্প্রতি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধকালীন সময়ের সন্মানিত সেনা সদস্য আব্দুল হাই বীর প্রতীককে হেনস্থার যে ঘটনা ঘটেছে, তা জাতির গৌরবময় অধ্যায়ের প্রতি অবজ্ঞার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তাঁকে জুতার মালা পরিয়ে অপমান করা হয়েছে, যা সভ্য সমাজের কাছে লজ্জাজনক।
এই ঘটনাটি মৌলবাদী গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ হতে পারে। তাঁরা দেশের ভেতরে হিন্দু-মুসলিম বিভেদের ছবি তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ এই চক্রান্ত দেশের ঐক্য ও প্রগতিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
বাংলাদেশে এখন মৌলবাদের বিরুদ্ধে একটি কঠোর সংগ্রাম চলছে। এই সংগ্রামে বাদ পড়ছে না বামপন্থী, আওয়ামী, হিন্দু-মুসলিম কিংবা অন্য কোনো গোষ্ঠী। দেশের স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের সম্মানহানি জাতির অন্ধকার ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়।
একটি জাতি যদি তার নিজের ইতিহাস এবং বীর সন্তানদের সঠিক সম্মান করতে না জানে, তবে তাদের পরিণতি হবে অন্ধকার। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন।