আজ, ক্রিসমাস ডে-তে গড়িয়া মোড়ে "আমরা ন্যায় চাই" গ্রুপ একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসমাবেশ ও প্রচারাভিযান সংগঠিত করেছে। তিলোত্তমা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা এই আন্দোলন আজ একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। গৃহবধূ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
গ্রুপটির জন্ম হয়েছিল গত ১৪ আগস্ট, যখন বাংলার বুকে এক উত্তাল আন্দোলন এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড এর বছরের দাবি, তিলোত্তমার হত্যা ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এক কর্মরত ডাক্টে যিনি মুমুর্ষ রোগীর জীবীন বাঁচানো তিলোত্তমার নির্মম হত্যা বাংলার মানুষের হৃদয়ে গভীর আঘাত করে। তিলোত্তমার মায়ের অভিযোগ এবং পুলিশ প্রশাসনের কার্যকলাপ সন্দেহের জন্ম দেয়।
পরবর্তী সময়ে, আর জি করে এর আধিকারিক সন্দ্বীপ ঘোষ, সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক এবং টানা থানার প্রাক্তন ওসি কে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই এর অধীনে থাকা মামলা দীর্ঘ সময় ধরে বিচারের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কারণে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। আমরণ অনশন, স্বাস্থ্য ভবন অভিযান, সিবিআই দপ্তরে প্রতিবাদ এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে এই আন্দোলন গোটা বাংলায় ব্যাপক সাড়া ফেলে।
আজকের দিনে, আন্দোলনের কর্মীরা রাস্তার শিশুদের মধ্যে শিক্ষার উপকরণ, যেমন পেন্সিল, রঙের বাক্স, ও খেলনা বিতরণ করেন। তাদের বক্তব্য, "আমরা জানি না এই শিশুদের জীবন কতটা রঙিন হবে, কিন্তু আমরা চাই এই ছোট প্রচেষ্টা তাদের জীবনে একটু আলোর ছোঁয়া আনুক।"
আন্দোলনকারীদের মতে, "বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে। রাস্তায় থেকে আমরা সেই ন্যায় ছিনিয়ে আনব।" পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও, জনগণের উষ্ণ অংশগ্রহণ এবং তাদের দৃঢ় অবস্থান এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছে।
"আমরা ন্যায় চাই" গ্রুপের সদস্যরা বলছেন, "তিলোত্তমার বিচারের দাবিকে কখনোই ঠান্ডা হতে দেব না। আমাদের লড়াই চলবে।" এই শীতে, আন্দোলনের উত্তাপ যেন বাংলার বিচারব্যবস্থাকে নড়াচড়া করতে বাধ্য করে—এই প্রত্যাশায় তারা এক নতুন প্রত্যয়ের সূচনা করলেন। অনুষ্ঠান শেষে মানব বন্ধন সংগঠিত হয়।