ডিয়েগো গার্সিয়া সামরিক ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে মরিশাস ও ব্রিটেনের মধ্যে আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মরিশাসের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নবীনচন্দ্র রামগোলাম অক্টোবরে স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব করেছেন, যা যুক্তরাজ্যকে চাগোস দ্বীপপুঞ্জের এই কৌশলগত স্থাপনা ধরে রাখার অনুমতি দেয়।
রামগোলাম দাবি করেছেন, এই চুক্তি মরিশাসের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থের প্রতি সুবিচার করে না। পার্লামেন্টে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা সমঝোতার পক্ষে, তবে তা হতে হবে মর্যাদা এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে।” যুক্তরাজ্য অবশ্য এই আলোচনা নিয়ে উদ্বেগকে অস্বীকার করেছে এবং বলছে, নতুন নেতৃত্বের অধীনে এটি কেবল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
চাগোস দ্বীপপুঞ্জ, যেখানে ডিয়েগো গার্সিয়া অবস্থিত, পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ এবং পরাধীনতার এক জীবন্ত স্মারক। মার্কিনিদের জন্য এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি একটি অপরিহার্য সামরিক কেন্দ্র যা চীনসহ গোটা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নজরদারি চালায়। কিন্তু মরিশাসের জন্য, এটি কেবল একটি ভৌগোলিক স্থান নয়—এটি তাদের সার্বভৌম অধিকার ও ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
রামগোলামের পাল্টা অবস্থান শুধু একটি চুক্তি সংশোধনের আহ্বান নয়, এটি দীর্ঘদিন ধরে চলা সাম্রাজ্যবাদী প্রভাবের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা। পশ্চিমা শক্তি যেখানে বহুমুখী বিশ্বব্যবস্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে, সেখানে মরিশাসের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটি নতুন দৃষ্টান্ত।