বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর, ইউরোপীয় দেশগুলো সিরিয়ার বিদ্রোহীদের গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের রূপকার হিসেবে প্রশংসা করেছিল। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস এখন বাস্তবতার মুখোমুখি।
ইউরোপজুড়ে সিরিয়ান প্রবাসীদের বড় ধরনের বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
জার্মানিতে বিভিন্ন শহরে ২৫,০০০-এরও বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে। সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য আশ্রয়ের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে জার্মানি প্রায় ১০ লাখ শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে। ফ্রান্স, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া এবং অন্যান্য ইইউ দেশেও হাজার হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।
তবে, বর্তমান পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। ইইউ দেশগুলো সিরিয়ান শরণার্থীদের জন্য কড়া সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে শুরু করেছে। জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ইতোমধ্যেই নতুন শরণার্থী গ্রহণে সীমাবদ্ধতা এনেছে।
ইউরোপের নীতি এখন পরিবর্তিত হয়েছে। সিরিয়ান শরণার্থীদের দেশে ফেরার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। জার্মানিতে একজন শরণার্থী দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে ১,০০০ ইউরো দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন আশ্রয় আবেদন স্থগিত রাখা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে শরণার্থীদের আর্থিক সুবিধা কমিয়ে তাদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ইউরোপের গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রতি সমর্থন এখন আর তেমন জোরালো নয়, বরং শরণার্থীদের নিয়ে বাস্তবমুখী নীতিই প্রাধান্য পাচ্ছে।