সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের নার্সরা তাদের কাজের অবস্থার অবনতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবাদ ও ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছেন। ৫ ডিসেম্বর, আহওয়াজের খোমেইনি হাসপাতালের কর্মীরা তাদের কাজ বন্ধ করে একটি খালি টেবিলের চারপাশে বসে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন এবং স্লোগান দেন: "আমাদের বেতন রিয়ালে, কিন্তু খরচ ডলারে।"
নার্সরা বাধ্যতামূলক ওভারটাইম এবং অতি কম বেতনের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, "মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন বৃদ্ধি, বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা এবং নার্সিং ট্যারিফিং আইন সঠিকভাবে কার্যকর করাই তাদের মূল দাবি।"
৩০ নভেম্বর, শিরাজে নার্সরা তাদের ১৬তম দিনের প্রতিবাদে "কাজের শর্তাবলির পরিবর্তন" দাবি করেন এবং বলেন, "নার্সদের কঠোর পরিশ্রমের ন্যায্য প্রতিফলন মেলে না।" একই দিনে খুজেস্তানের নার্সরা প্রদেশের গভর্নরের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে "বিশেষ ভাতা, ট্যারিফিংয়ের ন্যায্য বাস্তবায়ন, ঝুঁকিপূর্ণ পেশার আইন কার্যকর এবং বাধ্যতামূলক ওভারটাইম বন্ধের" দাবি জানান।
শিরাজ, ইয়াজদ, এবং দেশের আরও অনেক জায়গার নার্সরা ধারাবাহিকভাবে তাদের দাবিগুলো উচ্চারণ করেছেন। তারা সরাসরি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ন্যায্য ট্যারিফিং, এবং ওভারটাইম বাধ্যতামূলক বাতিলের দাবিতে সংগঠিত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
নার্সদের সংগঠনগুলো জানিয়েছে, "দেশে নার্সের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ১ লক্ষ কম।" অনেক নার্স কম বেতনের কারণে পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন বা বিদেশে চলে যাচ্ছেন।
বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট এবং সরকারের প্রতিশ্রুতির অপূর্ণতার কারণে নার্সদের এই প্রতিবাদ ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। নার্সদের একতাবদ্ধ আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করেছে।
সূত্র: নামۀ مردم, ১২ ডিসেম্বর, ১৪০৩।