মঙ্গলবার, মরক্কোর বিচারমন্ত্রী আবদেলাতিফ ওয়াহবি এবং ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ তৌফিক একসঙ্গে একটি নতুন পারিবারিক আইন (মুদাওয়ানা) খসড়া উন্মোচন করেছেন। এই খসড়াটিতে নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য ১০০টিরও বেশি সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবিত প্রধান পরিবর্তনসমূহ:
১. সন্তান লালন-পালন ও অভিভাবকত্বে নারীদের অধিক শক্তিশালী ভূমিকা:
খসড়া আইন অনুযায়ী, নারীরা সন্তানের অভিভাবকত্বে সমান অধিকার ভোগ করবেন, যা দীর্ঘদিন ধরে নারীবাদীদের প্রধান দাবি ছিল।
২. বহুবিবাহের ক্ষেত্রে নারীদের ভেটো ক্ষমতা প্রদান:
বিবাহ চুক্তির মাধ্যমে নারীরা বহুবিবাহের বিরোধিতা করার অধিকার পাবেন। যদিও নির্দিষ্ট শর্তে (যেমন বন্ধ্যাত্ব) বহুবিবাহ বৈধ থাকবে, প্রস্তাবিত আইন এর প্রয়োগে কঠোর সীমাবদ্ধতা আরোপ করবে।
৩. তালাক প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করা:
তালাক প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং দ্রুত করার পাশাপাশি সন্তানের যৌথ অভিভাবকত্ব নিশ্চিত করা হবে। তদুপরি, স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর জীবিত সঙ্গীর বৈবাহিক বাড়িতে থাকার অধিকার সুরক্ষিত করা হবে।
৪. তালাকপ্রাপ্ত নারীদের অবস্থার উন্নতি:
তালাকপ্রাপ্ত নারীরা পুনরায় বিবাহের পরও তাদের সন্তানের অভিভাবকত্ব বজায় রাখতে পারবেন।
৫. বিবাহের ন্যূনতম বয়স ১৮ রাখা:
বিবাহের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর ধরা হলেও, বিশেষ অনুমতিতে নাবালক বিবাহের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ১৭ নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাজা মোহাম্মদের মন্তব্য
মরক্কোর রাজা মোহাম্মদ VI এই সংস্কারগুলিকে "ন্যায়, সমতা, সংহতি এবং সাদৃশ্য" দ্বারা পরিচালিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আইন ইসলামী নীতিমালা এবং সার্বজনীন মূল্যবোধের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখবে।
এই খসড়াটি এখন মরক্কোর সংসদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। নারী অধিকার সংক্রান্ত সংগঠনগুলো এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এবং দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।