মিয়ানমারের একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের আন টাউনশিপে অবস্থিত সামরিক বাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড সদর দপ্তর দখল করেছে। এটি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে তাদের চলমান সংঘর্ষে একটি বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে আরাকান আর্মি আক্রমণ শুরু করে, আন এলাকার সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্যবস্তু করে। অক্টোবরের মধ্যে, তারা মায়ে তাউং কৌশলগত অপারেশন কমান্ডসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখল করে, যা পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড সদর দপ্তরের প্রতিরক্ষা বলয় হিসেবে কাজ করছিল।
পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড সদর দপ্তর পতন মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের জন্য একটি বড় আঘাত। ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে সামরিক সরকার ক্রমবর্ধমান আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে, যা জাতিগত এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা পরিচালিত। এই সাফল্যের মাধ্যমে আরাকান আর্মি পুরো রাখাইন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের আরও কাছে পৌঁছে গেল, যা আগে অন্য কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী অর্জন করতে পারেনি।
সামরিক সরকার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড সদর দপ্তর হারানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এলাকার ইন্টারনেট ও মোবাইল সেবায় বিধিনিষেধ থাকায় স্বাধীনভাবে তথ্য যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
একইসঙ্গে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট (আসিয়ান) মিয়ানমারে শান্তি স্থাপনের জন্য ব্যাংককে একটি বৈঠক করেছে। বৈঠকে সহিংসতা হ্রাস এবং সংলাপ পরিচালনার উদ্দেশ্যে তৈরি পাঁচ দফা পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে, যদিও মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না।