_adquake_domain_verification 5dkDkdOFw02Yu+hYeSV+kw== " " //psuftoum.com/4/5191039 Live Web Directory খুলনায় শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ: পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত //whairtoa.com/4/5181814
Type Here to Get Search Results !

খুলনায় শিক্ষার্থী ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ: পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত

 



খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন এবং কিছু বাস ও পরিবহন কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়।


পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পরিবহন শ্রমিক নেতাদের প্রায় চার ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে এখনও সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।


এদিকে, সংঘর্ষের ছবি তোলার সময় যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন আমির সোহেল এবং দৈনিক প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনও হামলার শিকার হন।


ঘটনার সূত্রপাত


শিক্ষার্থীরা জানায়, গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অসুস্থ শিক্ষার্থী রাজীব পরিবহনে খুলনায় আসছিলেন। বাসে সিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাসে তোলা হলেও সিট না দেওয়ায় সুপারভাইজার ও হেলপারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন।


ঘটনার পর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বাস টার্মিনালে যান। তখন পরিবহন শ্রমিকরা পুনরায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আরও শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ


সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যায়।


শিক্ষার্থীদের দাবি


শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ছাত্রদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রাজীব পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিক্রিয়া


খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত জানান, সংঘর্ষে ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।


বর্তমান পরিস্থিতি


এখনও সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।


পরবর্তী ব্যবস্থা


পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হলে আবারও উত্তেজনা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies