বাগদাদ, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সিরিয়া, ইরাক এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বাগদাদে অনুষ্ঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সিরিয়ায় সক্রিয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা উল্লেখ করেন যে, এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম কেবল সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন করছে না, বরং পুরো অঞ্চলজুড়ে অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাসাম সাব্বাঘ জানান, বৈঠকে তিনি ইরাকের রাষ্ট্রপতি আবদুল লতিফ রশিদ, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি, এবং সংসদ স্পিকার মাহমুদ আল-মাশহাদানি সহ ইরাক ও ইরানের প্রতিনিধিদের সাথে সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসী হামলার কারণে নিরীহ জনগণ ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সিরিয়ার সরকার মানবিক সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী তাদের কর্তব্য পালন করে যাচ্ছে, তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের কৌশলগত অবস্থান পুনর্গঠন করতে হয়েছে। বিদেশি হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্য অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করা এবং এর রাজনৈতিক মানচিত্র পুনর্গঠন করা।”
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন বলেন, “সিরিয়া ও ইরাকের নিরাপত্তা একে অপরের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। সিরিয়ার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে আমাদের অঙ্গীকার অবিচল। এই সংকট মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন।”
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি উল্লেখ করেন, “সন্ত্রাসের হুমকি শুধু সিরিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়। এটি পুরো অঞ্চলকে বিপদে ফেলতে পারে। আমাদের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা কোনো দল বা গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে পৃথক হওয়া উচিত নয়। যারা এই সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সমর্থন দিচ্ছে বা নীরব রয়েছে, তাদেরও দায়বদ্ধতা গ্রহণ করতে হবে।”
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং সন্ত্রাস দমনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্বৈত নীতির পরিহার করে সমানভাবে সন্ত্রাস মোকাবিলার আহ্বান জানান।