সম্প্রতি তুরস্ক ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধ না করলে সামরিক আক্রমণের হুমকি দিয়েছে। তবে বাস্তবে, তুরস্কই মাসের পর মাস ধরে ইসরায়েলে তেল সরবরাহ করছে।
ইসরায়েলের তেলের ৪০% আসে এমন পাইপলাইনের মাধ্যমে যা সরাসরি তুরস্ক দিয়ে প্রবাহিত হয়। তুরস্ক যদি এই তেলের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে যুদ্ধ এক সপ্তাহের মধ্যেই থেমে যাবে।
যদিও তুরস্ক গত মে মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল, তারা এখনও তেল সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছে। এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করায় তুরস্কের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লাগে, তবুও তারা এই গুরুত্বপূর্ণ তেল সরবরাহ বন্ধ করতে অগ্রাহ্য।
অন্যদিকে, আজারবাইজান ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী দেশ, এবং এই তেল সরবরাহ পাইপলাইনের মাধ্যমে তুরস্ক হয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে। এই তেল ইসরায়েলের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য।
তুরস্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও সমালোচনা করলেও তারা এই তেলের প্রবাহ থামানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এতে তুরস্কের অবস্থানকে দ্বিচারিতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। একদিকে তারা ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানায়, অন্যদিকে তারা সেই যুদ্ধে অর্থায়নকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ রসদ সরবরাহ অব্যাহত রাখে।
এ ঘটনাগুলো স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেয় তুরস্কের নীতিগত অসংগতি এবং তাদের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থানের পেছনের বাস্তবতা।