নতুন বছরের শুরুতেই বেলডাঙ্গায় পৌঁছালেন সিপিআইএম নেতা, যেখানে সম্প্রতি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। নেতার সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে প্রতিহত করা এবং এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা।
বেলডাঙ্গা, যা অতীতে একাধিকবার সাম্প্রদায়িক অশান্তির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে নির্বাচনী সময়ে, সেখানে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে ঘৃণা সৃষ্টির চেষ্টা লক্ষ্য করা গিয়েছে। সিপিআইএম নেতা তার বক্তব্যে বলেন, “ধর্ম এবং রাজনীতির মিশ্রণে যে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি হয়, তা শুধুমাত্র মানুষের ক্ষতি করে। আমরা এখানে এসেছি মানুষের ঐক্যের জন্য, সম্প্রীতির জন্য।”
তিনি আরো অভিযোগ করেন যে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস উভয় দলই নির্বাচনী স্বার্থে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়িয়েছে। তিনি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, কারণ সময় মতো যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি কিছু গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটলেও নিরীহ ও দোষীদের পার্থক্য করা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সিপিআইএম নেতা তাদের কর্মীদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন, যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কর্মীরা যে ঝুঁকি নিয়ে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ভেঙে পড়া সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছেন, তার জন্য আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই।”
সেলিমের বক্তব্য, “আমাদের রাজ্য এবং জেলার ঐতিহ্য হলো ঐক্য। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এখানকার মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।”
সিপিআইএম-এর এই উদ্যোগ এলাকায় নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছে।